উপাসনা
অর্থ ঈশ্বরকে স্মরণ করা। একাগ্র চিত্তে ঈশ্বরকে ডাকা। ঈশ্বরের আরাধনা করা।
উপাসনা ধর্ম পালনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ পদ্ধতি। ধ্যান, জপ, কীর্তন, পূজা,
স্তব-স্তুতি, পদ্ধতিতে উপাসনা করা হয়।
একাগ্র চিত্তে ঈশ্বরের
চিন্তা করার নাম ধ্যান। নীরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকে বলে জপ। সরবে
ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ বা গুণগান করার নাম কীর্তন। ঈশ্বরের প্রশংসা করে তাঁর
নাম উচ্চারণ করাকে বলে স্তব-স্তুতি।
উপাসনা করলে দেহ-মন পবিত্র হয়। উপাসনার সময় আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করি। তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করি। সকলের কল্যাণ কামনা করি।
উপাসনা আবার দুই প্রকার। যেমনঃ সাকার উপাসনা ও নিরাকার উপাসনা।
সাকার উপাসনাঃ 'সাকার' অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে
ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা। বিভিন্ন দেব-দেবী, যেমন - ব্রহ্মা,
বিষ্ণু, শিব, কালী, দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রভৃতি ঈশ্বরের সাকার রূপ।
আমরা ঈশ্বরকে দেব-দেবীর প্রতিমা রূপে ও অবতার রূপে উপাসনা করি। এরূপ
উপাসনায় ভক্ত ঈশ্বরকে সাকার রূপে কাছে পায়। তাঁকে পূজা করে। তাঁর নিকট
প্রার্থনা করে।
নিরাকার উপাসনাঃ ঈশ্বরকে নিরাকার ভাবেও উপাসনা করা
যায়। নিরাকার উপাসনায় ভক্ত নিজের অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করেন। ঈশ্বরের
নাম জপ করেন অর্থাৎ নীরবে ঈশ্বরের নাম মনে মনে উচ্চারণ করেন। ঈশ্বরের নাম
কীর্তন করেন। তাঁর স্তব-স্তুতি করে তাঁর নিকট প্রার্থনা জানান। নিজের ও
জগতের কল্যাণ কামনা করেন।
সুতরাং ধ্যান, জপ, কীর্তন, পূজা, স্তব-স্তুতি, পদ্ধতিতে আমরা ঈশ্বরের উপাসনা করব।
উপাসনা একটি নিত্যকর্ম। প্রতিদিন উপাসনা করতে হয়। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও
সন্ধ্যায় ঈশ্বরের উপাসনা করা কর্তব্য। উপাসনার জন্য আমাদের দেহ মনের
পবিত্রতার প্রয়োজন। পরিষ্কার পরিছন্ন হয়ে উপাসনা করতে হয়। মন্দিরে বা
ঘরে বসে উপাসনা করা যায়।
No comments:
Post a Comment